Thursday, July 17, 2025

স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি, আমার সহপাঠীরা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ে না।

 স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি, আমার সহপাঠীরা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ে না।

ইউনিভার্সিটি শেষে দেখতাম ওরা পার্টিতে চলে যায়। যতো কঠিন পরীক্ষাই হোক, ওরা উইকেন্ডে আনন্দ বাদ দিয়ে, পরীক্ষার জন‍্য পড়তে চায় না।

আমার কাছে বিষয়টা প্রথম প্রথম অদ্ভুত লাগতো। যেহেতু, আমি বাংলাদেশের কালচারে বড়ো হওয়া।

আমার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা বাসায় গিয়ে তেমন স্টাডি করো না? ওরা উল্টো আমাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো—বাসায় গিয়ে যদি পড়ি, তাহলে স্কুলে (ইউনিভার্সিটি) আসি কেন? এখানে তো পড়তেই আসি!

ভাবলাম, কথায় তো যুক্তি আছে। আমাকে বললো, তুমি যদি স্কুলেই ৭-৮ ঘন্টা কাটাও, এটা তো পড়াশুনার জন‍্যই। তাইলে আবার বাসায় গিয়ে কখন পড়বে? কেন পড়বে?

আমি চিন্তা করলাম—আমাদেরকে এভাবে কখনো বলেনি কেন? এভাবে ভাবতে শেখায়নি কেন?

স্কুল থেকে বিশ্ববিদ‍্যালয় পর্যন্ত উল্টো আমাদেরকে বলা হয়েছে—পড়ো। সারাদিন পড়ো। দুনিয়ার কোন কিছু চিন্তা না করে শুধু পড়ো। আদা-জল খেয়ে পড়ো। ঘুম, খাওয়া আর বাথরুম ছাড়া শুধু পড়ো। ভোর বেলায় উঠে পড়ো—তখন মাথা ঠাণ্ডা থাকে। গভীর রাতে পড়ো। পড়তে পড়তে গায়ের জামা-কাপড়ের কথাও ভুলে যাও।

১২-১৪ ঘন্টা পড়া, আর পরীক্ষার সময় ৬-৭ টা লুজ পেপার নেয়া হলো—আমাদের স্ট‍্যান্ডার্ডে একটা পড়ুয়া স্টুডেন্টের লক্ষ‍ণ!

যাই হোক, পরে আরো গভীরভাবে জেনে দেখলাম, ওরা তো ছোটবেলা থেকেই এই চর্চায় বড়ো হয়। স্কুলে যায় পড়তে। শিখতে। স্কুলে বসেই শিখে। ফলে কলেজ-বিশ্ববিদ‍্যালয়েও একই চর্চার ধারাবাহিকতা থাকে। কেউ কেউ যে একটু বেশি পড়ুয়া হয় না, তা না। কিন্তু গড় চিত্রটা এমনই। বিদ‍্যাপীঠে তো পড়তেই যায়, তাহলে বাসায় এসে কেন আদা-জল খেয়ে পড়বে?

এখন আমার ছেলেকে দিয়ে বুঝি। কোন প্রাইভেট নাই। বাসায় এসে পড়ার চাপ নাই। এমনকি হোম ওয়ার্কও তেমন দেয় না। যদিও, আমি ওকে বাসায় মাঝে মাঝে কিছুটা শিখাই।

আমি ওর ক্লাস টিচারকে জিজ্ঞেস করলাম—ওদেরকে প্রতিদিন হোম ওয়ার্ক দাও না কেন? টিচার বললো, বোর্ড থেকে নিষেধ আছে। বাচ্চারা যেনো বাসায় গিয়ে পড়ার চাপে আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ “বার্ন আউট” না হয়, সেজন‍্য। সে নিজেই বললো, স্কুলে তো ওরা শিখতেই আসে। এখানেই যদি না শিখে—তাইলে স্কুলের দরকারটা কি? It defeats the purpose!

মনে মনে বলি—শালার পড়াশুনা এরাই করলো! প্রাইভেটের দৌঁড়াদৌঁড়ি নাই। বইয়ের বোঝা ভর্তি চাপ নাই। হোম ওয়ার্কের তীব্র প‍্যারা নাই। বাসায় কেউ বলে না—পড়তে বসো। আবার এরাই দুনিয়ার সব আবিষ্কার-উদ্ভাবন করে বসে থাকে।

আর আমরা বীজতলা ঠিক না করে, বীজতলার দোষ না দিয়ে—প্রজন্মের পর প্রজন্ম শুধু পড়েই গেলাম! এভাবে পড়েই যাবো। গোড়ার গলদটুকু কখনোই সমাধান করবো না।

 

Friday, July 4, 2025

Quiz Syllabus

কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সবাই নিচের লিঙ্কে গিয়ে আর্টিকলগুলো পড়তে পারেন ।---------


Daily Amal Bangladesh  = https://dailyamalbangla.blogspot.com/

Daily Amal International = https://dailyamalint.blogspot.com/

Avenue Motivation Bangla = https://avenuemotivationbangla.blogspot.com/

Avenue Motivation International = https://avenuemotivationint.blogspot.com/

Shikka Bangla = https://shikkhabangla.blogspot.com/

Jamil Akkas Sir = https://jamilakkassir.blogspot.com/

Daily Healthline Bangla = https://dailyhealthlinebangla.blogspot.com/


Tuesday, June 24, 2025

Class Five Mathematics Unit 6 Lecture Oral Fraction E01

 পঞ্চম শ্রেণি, গণিত, মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন

অধ্যায় ০৬- ভগ্নাংশ

5Math U6 LS Oral Fraction E01

1)               মিশ্র ভগ্নাংশের পূর্ণসংখ্যার অপর নাম কী?

2)              মিশ্র ভগ্নাংশের হরের অপর নাম কী

3)              মিশ্র ভগ্নাংশের লবের অপর নাম কী

4)               মিশ্র ভগ্নাংশে কয়টি অংশ থাকে ও কী কী

5)              ফলাফল অপ্রকৃত ভগ্নাংশ হলে কি ভগ্নাংশ বানাতে হয়?

6)              ভগ্নাংশের বিয়োগের বেলায় কাজের ধাপগলো কী কী?

7)              ভগ্নাংশের বিয়োগের বেলায় কাজের প্রথম ধাপ কী?

8)              ভগ্নাংশের বিয়োগের বেলায় মিশ্র থেকে অপ্রকৃত বানানো কত নং কাজ?

9)              মিশ্র ভগ্নাংশ চিনায় উপায় কী?

10)           ভগ্নাংশ কত ধরণের?

11)           মিশ্র ভগ্নাংশে হর ছোট নাকি বড়?

12)           মিশ্র ভগ্নাংশে হর বড় নাকি লব বড়?

13)          মিশ্র ভগ্নাংশে পূর্ণ সংখ্যা হর+লবের চেয়ে বড় নাকি ছোট?

14)           অপ্রকৃত ভগ্নাংশে হর বড় নাকি লব বড়?

15)           প্রকৃত ভগ্নাংশে হর বড় নাকি লব বড়?

16)          প্রকৃত ভগ্নাংশ চিনার উপায় কী?

17)           অপ্রকৃত ভগ্নাংশ চিনার উপায় কী?

18)           মিশ্র ভগ্নাংশ চিনার উপায় কী?

19)           কোন ভগ্নাংশে পূর্ণ সংখ্যা থাকে?

20)          কোন ভগ্নাংশে লব বড় থাকে?

21)           কোন কোন ভগ্নাংশে হর বড় থাকে?

22)          ফলাফলের অপ্রকৃত ভগ্নাংশকে কোন ভগ্নাংশ বানাতে হয়? 

Friday, June 20, 2025

যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন


 




































📌যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন! সে মানুষটা আপনাকে অ'ভিশাপ দিক বা না দিক, আপনিও একদিন খুব বাজে ভাবে ঠ'কে যাবেন, হয়তো অন্য কারো কাছে নয়তো অন্য কোনো ভাবে, তবে ঠকে আপনি অবশ্যই যাবেন, কারণ! বাস্তবতা হচ্ছে-- তার থেকে আপনার মুক্তি মিললেও, তার রুহের হায় থেকে কখনোই আপনার মুক্তি মিলবে না;


✅কাউকে বিনা কারণে অ'ন্যায়ভাবে আ'ঘাত করলে, কারো সাথে বে'ঈমানী কিংবা প্র'তারণা করলে  সাময়িকভাবে আপনি নিঃসন্দেহে ভালো থাকবেন, তবে বেশি দিন ভালো থাকবেন না, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তো কখনোই নয়, আর ওপারের কথাটা না হয় না-ই বা বললাম;


✅বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় আপনি খুব দক্ষতার সহিত কারো বিশ্বাস ভা'ঙ্গছেন? আপনার দেওয়া দুঃ'খ - ক'ষ্টে প্রার্থনায় বসেও কেউ চোখের জল ফেলছে?

প্রস্তুত থাকুন আজ না হয় কাল আপনার বিশ্বাসও কেউ না কেউ ভা'ঙ্গ'বে, আপনার চোখের জলও কেউ না কেউ ফেলবে, ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনি কারো ক্ষ'তিসাধন করলে আপনার ক্ষ'তিও কোনো না কোনো ভাবে হবেই, অন্যের দূ'র্বলতা, সরলতা কিংবা ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে আপনি যা যা অ'ন্যায় করবেন, গোলাকার এই পৃথিবীতে ঘুরে ফিরে তার সবটাই ফিরে পাবেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র;


✅আপনার অ'ন্যায়, অ'ত্যাচার, অ'বিচার, ব্য'ভিচার, অ'প'কর্ম, প্র'তারণা, ঠ'কানো, বে'ঈমানী 

সব কিছু আপনি ভুলে যেতে পারেন, যার সাথে করেছেন সেও হয়তো কোনো দিন ভুলে যেতে পারে কিন্তু! প্রকৃতি কখনোই কোনো কিছু ভুলে না, তাই আপনার কর্ম ভালো হোক বা মন্দ! প্রকৃতি আপনাকে সেভাবেই সবটা ফিরিয়ে দিবে, ভালো কর্ম করলে ভালো, আর মন্দ কর্ম করলে মন্দ, সে যাইহোক না কেনো, তবে ফিরিয়ে আপনাকে অবশ্যই দিবে;


✅মনে রাখবেন! গোলাকার এই পৃথিবীতে ভালো মন্দ সব কিছুই ঘুরে ফিরে ফিরে আসে, মানুষের হিসাবে ভুল হলেও প্রকৃতির হিসাবে কখনোই ভুল হয় না, প্রকৃতি তার নিজস্বতায় সব কিছুর হিসাব খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবেই রাখে, প্রকৃতি যে হিসাবে বড্ড পাকা, কর্মফল ভোগ না করিয়ে কখনো কাউকে ছাড়ে না;


✅জানেন তো?  ইংরেজিতে Revenge of Nature বলে একটা কথা আছে! বাংলায় যাকে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে, কিন্তু! আমরা যখন ঠকে গিয়ে ঠকবাজ, প্রতারক, বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও চরিত্রহীন মানুষ গুলোকে ভালো থাকতে দেখি, তাও আবার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কিংবা যুগের পর যুগ ধরে, তখন আমরা বলি-- Revenge of Nature বলে কিচ্ছু হয় না, কিচ্ছু না, ওটা শুধুমাত্র সান্ত্বনার বাণী, কিন্তু না, মোটেও তা ঠিক নয়, এগুলো আসলে আমাদের আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া অশান্ত মনের অশ্রুকণা;


✅আসল কথা হচ্ছে -- আপনি সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও প্রকৃতিকে কখনোই ফাঁকি দিতে পারবেন না, সবাই আপনাকে ছেড়ে দিলেও প্রকৃতি কখনোই আপনাকে ছেড়ে দিবে না, মনে রাখবেন! মানুষ যা পারে না প্রকৃতি তা খুব ভালো ভাবেই পারে, মানুষ যে হিসাব মিলাতে পারে না বলে, হিসাব খানি অপূর্ণ রয়ে যায়, প্রকৃতি সে হিসাব সময় মত কড়ায়গ'ণ্ডায় মিলায়, মানুষ যে বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়ে নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে সব সহ্য করে যায়, প্রকৃতি সে বিচারের সাজা এই দুনিয়াতেই ভো'গ করিয়ে নিয়ে যায়;


✅কাউকে অন্যায়ভাবে আ'ঘা'ত করা ছাড়ুন, ঠ'কিয়ে লাভবান হওয়ার চিন্তা বাদ দিন, প্র'তা'র'ণা করার মানসিকতার জলাঞ্জলি দিন, জীবনে এমন ভাবে বাঁচুন যেন আপনার দ্বারা কখনোই কারো ক্ষ'তি না হয়, আপনি যেন কখনো কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ না হন, জানেন তো? মানুষের দী'র্ঘ'শ্বা'স ভীষণ ভ'য়ং'ক'র, কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ হয়েছেন তো আপনার শা'স্তি অনিবার্য, তাই! জীবনে আর কাউকে পরোয়া করুন আর না করুন সৃষ্টিকর্তাকে পরোয়া করুন, মনে রাখবেন! তিনি ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না কখনো।

Saturday, June 7, 2025

Don't track my views for this blog.

  

A Journey By Boat Composition for the students of HSC SSC JSC [Dnj. B. 2019]

 A Journey By Boat Composition for the students of HSC SSC JSC [Dnj. B. 2019]

Journey is always a pleasure to me. Whenever I go on a journey, my heart leaps up with joy. But my greatest pleasure is in a journey by boat. Bangladesh is a land of rivers. So it is easy to make a journey by boat. A journey by boat is interesting and pleasant. Whenever I get an opportunity to make a journey by boat, I make the best use of the opportunity. A few days ago, I made a journey by boat from Mongla to Paikgachha on the occasion of the autumn vacation.

We were four in number. We hired a big boat. The boatman and the oarsmen were very nice people. We had our breakfast early in the morning. We started at 8 am. The sky was clear and the weather was fine. The river was calm. It was full to the brim. Our boatman rowed for a while and then set sail. The boat began to move smoothly. There were small waves on the river. We enjoyed the scenes on both sides of the river. There were green fields, paddy fields and jute fields, rows of trees which were full of flowers and fruits. These things charmed our eyes. We saw many boys and girls bathing and swimming in the river. Fishermen were catching fish. Women were seen fetching water in pitchers.

We reached a market at 12 o'clock. The boatman cast the anchor. We got down. We bought rice, egg, a big hilsha fish and sweets. The boatmen gave us an oven and fuel. We cooked the food ourselves. We took our meal. The boatmen took a rest for a while. Then they raised the anchor.

Again, we started our journey. The boatmen tried to reach the destination before sunset. It was late afternoon. The sun was setting. We enjoyed the sunset. The boat moved slowly, and we reached our destination. It was dark all around."

The journey in my heart I bore. It gave me much pleasure. It was one of the most memorable days in my life, indeed.

স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি, আমার সহপাঠীরা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ে না।

  স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি , আমার সহপাঠীরা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ে না। ইউনিভার্সিটি শেষে দেখতাম ওরা পার্টিতে চলে যায়। যতো কঠিন ...